ডেস্ক রিপোর্ট :: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনার সন্দেহভাজন ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনার দুদিন পর শাল্লা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে গত বুধবার (১৭ মার্চ) সকালের দিকে হামলার ঘটনা ঘটলেও এই হামলায় কে বা কারা নেতৃত্ব দিয়েছে অথবা মূল ইন্ধন দাতা কে এই রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয় নি। এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুক্তাদির আল হোসেন জানান, ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতেই দুদিন পার হয়ে গেছে। যে কারণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। কারণ, র্যাবের ডিজি আসছেন। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন। একাধিক বাহিনীও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এর আগে সকালে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সকাল ১১টায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘর পরিদর্শন করেন এবং হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আল্লামা মামুনুল হক সহ হেফাজত নেতাদের নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে ঝুমন দাশ নামের এক যুবক। তার বিরূপ মন্তব্য নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাও গ্রামের কয়েকজন হিন্দু লোকের সহায়তায় শাসকাই বাজার থেকে তাকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ঝুমনকে জেলহাজতে প্রেরণ করে শাল্লা থানা পুলিশ।