আল্লাহ পাক আল্লামা আহমদ শফিকে দীর্ঘ হায়াত এবং সুস্থতা দান করুন। আমি চাই জাতির ক্রান্তিলগ্নে তিনি যেভাবে দক্ষ সৈনিকের মতো নেতৃত্ব দিয়েছেন সেভাবে যেন আরও দিয়ে যেতে পারেন।
অতঃপর বেফাকের কর্তাদের কাছে একটি অনুরোধ রাখতে চাই, আল্লামা আহমদ শফির পর যখন আপনারা নতুন সভাপতি নির্বাচন করবেন তখন যেন নির্বাচিত করা হয় ওলি ইবনে ওলি হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান শায়খে বর্ণভীকে। এ বছর তাঁকে বেফাকের সহসভাপতি নির্বাচিত করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। তবে আরও আগে করা হলো না কেন? এই প্রশ্নটাও রইলো।
আমাদের পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস, এই বুজুর্গকে দায়িত্ব দেওয়া হলে অনেক বিতর্ক এমনি থেমে যাবে। আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘ হায়াত দান করুন।
এর আগে আমি প্রস্তাব করেছিলাম, মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভীকে বেফাকের সেক্রেটারি করে মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সাহেবকে সহসভাপতি করার। এতে অনেক সংকট কমে আসতো।
কিন্তু তা কেউ গুরুত্ব দেননি। দেবেনই বা কেন? আমরা তো আর বেফাকের কেউকেটা কিছু নয়। তবে সেই প্রস্তাব গুরুত্ব দিলে উম্মতের অনেক উপকার হতো। অনেক নিঃস্বার্থ বিক্ষুব্ধ লোক কিছুটা শান্ত হতো। অবশ্য স্বার্থপর যারা তারা স্বার্থ না পাওয়া পর্যন্ত শান্ত হয় না। আশা করি পূর্বের প্রস্তাব গ্রহণ না হলেও এই প্রস্তাব কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন। তবে তিনি রাজি হবেন কি না সন্দেহ আছে। কারণ এসব ঝামেলায় তিনি আসতে চাইবেন না। কিন্তু আল্লামা আহমদ শফির পর তাঁকে মিয়ে আসাটা উলামাদের ঐক্যের জন্য খুব জরুরী। একান্ত যদি তিনি না আসেন তবে চেষ্টা করতে হবে তাঁর ছোটভাই মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক সাহেবকে নিয়ে আসতে।
বেফাক একটি সার্বজনিন শিক্ষা বোর্ড। এর নেতৃত্বে সার্বজনীন মানুষের প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।